Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ জানুয়ারি ২০২৫

কমিশন প্রধান

 

জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান

 

অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ১৯৬৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন, যেখানে তিনি ফার্মাকোলজি এবং ফরেনসিক মেডিসিনে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস কর্তৃক আয়োজিত এফসিপিএস (মেডিসিন) পরীক্ষায় তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন এবং কর্নেল জাফরি স্বর্ণপদক পান। ১৯৭৭ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার সময়, তিনি ৫-এএসএ ভিত্তিক ওষুধ আবিষ্কার করেন, যা আজও প্রদাহজনিত অন্ত্র রোগের (IBD) দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

 

তিনি ১৯৯৯ সালে সুইজারল্যান্ডের বেসেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারিস কৌসা সম্মাননা, ২০০১ সালে লন্ডন থেকে এফআরসিপি, ২০০১ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলোশিপ এবং ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সম্মানসূচক ফেলোশিপ লাভ করেন।

 

১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে অধ্যাপক আজাদ খান ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ গঠনে নিজেকে উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হিসেবে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রচেষ্টার ফলে শুধু আইপিজিএমআর নয়, সারা দেশে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেবার প্রসার ঘটে। তিনি বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

 

১৯৯০ সালে তিনি বারডেমে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ইন ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার্স) গবেষণা ও উন্নয়নের পূর্ণকালীন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। তার তত্ত্বাবধানে বারডেম একটি গবেষণা দল গড়ে তোলে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে।

 

তিনি ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত এবং এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এবং ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান।

 

তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা মডেল (ইব্রাহিম ডায়াবেটিস কেয়ার মডেল) উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ল্যানসেট পত্রিকা তার প্রোফাইল প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি বাংলাদেশের অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অন্যতম অগ্রণী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখিত।

 

অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ২৪৭টির বেশি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন এবং আটটি বইয়ে অধ্যায় লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মেলনে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং বিশেষ বক্তৃতা দিয়েছেন।

 

তিনি একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে "মাওলানা আকরাম খান স্বর্ণপদক," "শের-ই-বাংলা পুরস্কার," "ডাঃ ইব্রাহিম স্বর্ণপদক," এবং ২০১৮ সালে সামাজিক সেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের "স্বাধীনতা পুরস্কার"। ২০২১ সালে তাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।